ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer):
মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত ক্যান্সারগুলোর একটি হলো ব্রেস্ট ক্যান্সার। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এ রোগের শিকার হচ্ছেন। ব্রেস্ট ক্যান্সার untreated বা অগ্রসর হলে মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে লক্ষণগুলো শনাক্ত করা গেলে, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ, কারণ এবং সচেতনতার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কি?
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ ও নির্ণয়:
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সহজেই নজরে আসে না। তাই, মহিলাদের উচিত নিয়মিতভাবে স্তন পরীক্ষা করা। ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- স্তনের মধ্যে অস্বাভাবিক গুটি বা গোঁড়া অনুভব করা।
- স্তনের আকার বা চেহারায় হঠাৎ পরিবর্তন দেখা।
- নিপল থেকে অস্বাভাবিক তরল নির্গমন, বিশেষ করে রক্ত।
- স্তনের ত্বকে লালচে দাগ বা রুক্ষতা দেখা দেওয়া।
ব্রেস্ট ক্যান্সার ও জেনেটিক টেস্টিং:
BRCA1 এবং BRCA2 জেনেটিক মিউটেশন থাকলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেনেটিক টেস্টিংয়ের মাধ্যমে এই ঝুঁকি নির্ধারণ করা যায় এবং প্রয়োজনে প্রোফিল্যাক্টিক সার্জারি নেওয়া যেতে পারে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ কারণসমূহ:
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই জটিল। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:
-জেনেটিক কারণঃ যদি পরিবারের কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকে, তাহলে অন্য সদস্যদেরও এটি হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়
-জীবনযাত্রার প্রভাবঃ ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
-বয়স ও হরমোনের পরিবর্তনঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এবং মেনোপজের পরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
কীভাবে নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করবেন (Self-examination of Breast):
নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা মাসিক চক্রের ৭-১০ দিনের মধ্যে করা উচিত। এটি করতে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে স্তনের আকার, আয়তন এবং নিপলের অবস্থান খেয়াল করা উচিত। এছাড়াও, আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে স্তনের ভিতরে কোনো গুটি বা অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা অনুভব করতে হবে। যদি অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় তাহলে ম্যামোগ্রাম এর মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ৪০ বছরের পর প্রতিটি মহিলার বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানো উচিত, কারণ এটি ক্যান্সার নির্ণয়ে অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি।
ম্যামোগ্রাম (Mammogram)
ম্যামোগ্রাম (Mammogram) হলো স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত একটি বিশেষ ধরনের রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় স্তনের এক্স-রে ছবি নেওয়া হয়, যা স্তনের ভেতরের টিস্যুতে কোনো অস্বাভাবিকতা বা টিউমার রয়েছে কিনা তা নির্ণয় করতে সহায়তা করে। ম্যামোগ্রাম সাধারণত নারীদের স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়, যা তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
ম্যামোগ্রাম কী এবং কেন এটি প্রয়োজনীয়?
ম্যামোগ্রাম একটি বিশেষ ধরনের এক্স-রে পরীক্ষা যা স্তনের টিস্যুগুলোর ছবি নিতে ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্তনে কোনো অস্বাভাবিকতা, যেমন টিউমার বা সিস্ট, প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসার সফলতার হার অনেক বেশি হয়। সাধারণত ৪০ বছর বা তার অধিক বয়সী নারীদের জন্য ম্যামোগ্রাম সুপারিশ করা হয়, তবে পরিবারের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে আরও কম বয়সেও এটি করা যেতে পারে।
ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা: বাংলাদেশে খরচ, প্রয়োজনীয়তা, এবং উপলব্ধতা
স্তন ক্যান্সার হলো নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারের একটি, এবং এটি দ্রুত শনাক্ত করার জন্য ম্যামোগ্রাম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। বাংলাদেশে এই পরীক্ষা এখন অনেকটাই সহজলভ্য, তবে এর খরচ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা এখনও যথেষ্ট নয়। এই আর্টিকেলে, আমরা ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা, এর খরচ, এবং কোথায় এটি করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বাংলাদেশে ম্যামোগ্রাম করার খরচ:
বাংলাদেশে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষার খরচ বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। সাধারনত, সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করতে খরচ অপেক্ষাকৃত কম। সেখানে একটি ম্যামোগ্রামের জন্য খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে, বেসরকারি হাসপাতালে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এটি করতে খরচ একটু বেশি হয়, যা প্রায় ২৫০০ থেকে ৮০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
উন্নত প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত এই পরীক্ষার জন্য খরচ আরও বেশি হতে পারে। কিছু প্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি বা ছাড় দেওয়া হয়, বিশেষ করে ক্যান্সার সচেতনতা মাসে।
কোথায় ম্যামোগ্রাম করা যায়?
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর রাজশাহীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর বড় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ম্যামোগ্রাম করার সুবিধা রয়েছে। ঢাকার মধ্যে, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, এপোলো হাসপাতাল, ও এভারকেয়ার হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রামে ম্যাক্স হসপিটাল ও মেডিকেল সেন্টার, এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এই সেবা পাওয়া যায়।
ম্যামোগ্রামের প্রক্রিয়া:
ম্যামোগ্রামের সময়, একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে স্তনকে দুইটি প্লেটের মধ্যে চেপে ধরে এক্স-রে ছবি নেওয়া হয়। কিছুক্ষণের জন্য চাপ অনুভূত হতে পারে, তবে এটি সহনীয় এবং পরীক্ষার সময় খুবই কম। পুরো প্রক্রিয়াটি সাধারণত ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
ম্যামোগ্রাম করার আগে প্রস্তুতিঃ
ম্যামোগ্রামের দিন কোনো প্রকার ডিওডোরেন্ট, পারফিউম, বা পাউডার ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এগুলো এক্স-রে ছবির মানকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া, মাসিকের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি কমানোর জন্য মাসিকের পরের সপ্তাহে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
কীভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়:
ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই, তবে প্রতিরোধ ও ঝুঁকি কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ রয়েছে।
- নিয়মিত ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করানো।
- বাড়িতে যত্নের জন্য নিয়মিত ব্রেস্ট সেলফ-এক্সামিনেশন করা।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাওয়া উচিত।
- নিয়মিত শরীরচর্চার ভূমিকা অপরিসীম। দৈনিক অন্তত ২০মিনিট বা সপ্তাহে কমপক্ষে ১৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শরীর মন দুটোকেই সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- শারীরিক যত্নের পাশাপাশি মানসিক সাপোর্ট এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা একান্ত প্রয়োজন, কারণ সুস্থতার পথে এই মানসিক শক্তিই সব থেকে বড় সহায়ক।
ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের পর করণীয়:
ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের পর মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর জন্য একটি সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। ক্যান্সার চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:
- কেমোথেরাপি: এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
-রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সার কোষকে সরাসরি ধ্বংস করার জন্য রেডিয়েশন দেওয়া হয়।
-সার্জারি: ব্রেস্ট টিউমার অপারেশনের মাধ্যমে টিউমার বা স্তনের অংশবিশেষ সরিয়ে ফেলা হয়।
এসময় রোগীর মানসিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি। পরিবার এবং বন্ধুরা মানসিক সাপোর্ট দিতে পারে, যা রোগীর সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার মধ্যে কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেমন:
- কেমোথেরাপি চলাকালীন রোগীর ক্লান্তি, চুল পড়া এবং বমি হতে পারে।
- সার্জারি পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে এবং এটি মানসিক ও শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং পরিবারের সাপোর্ট রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা এবং এর প্রভাব:
অক্টোবর মাসে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়, যা মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই মাসে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি এবং তথ্য প্রকাশ করা হয়, যা মহিলাদের সচেতন হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের পরে জীবন:
ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়ার পরে জীবনযাত্রা সম্পূর্ণভাবে বদলে যেতে পারে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত চেক-আপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।
ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং গর্ভাবস্থা:
গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয় করা হলে, চিকিৎসা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হলেও কিছু জটিলত থাকতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিপ পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিচ।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সারভাইভারদের গল্প:
ব্রেস্ট ক্যান্সার সারভাইভারদের গল্প সাহস ও আশার প্রতিচ্ছবি। ক্যান্সার জয় করা এক কঠিন লড়াই, যেখানে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক সংগ্রামও থাকে। তবে এই যোদ্ধাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও পরিবারের ভালোবাসা তাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়।একজন সারভাইভারের ভাষায়, "প্রথমে মনে হয়েছিল সবকিছু শেষ, কিন্তু আমার পরিবার আর ইচ্ছাশক্তিই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।" তাদের এই গল্প অন্যদের জন্য প্রেরণা, যা প্রমাণ করে যে ক্যান্সার মানেই সবশেষ নয়, বরং জীবনের নতুন শুরু।এমন গল্পগুলো আমাদের কেবল অনুপ্রাণিত করে না, বরং সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে, সমাজকে মানবিক করে।
উপসংহার:
ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ হলেও সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ এবং নিরাময় করা সম্ভব। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় সাত হাজার নারী স্তন ক্যানসারে মারা যান, এবং নতুনভাবে আক্রান্ত হয় প্রায় ১৩ হাজার নারী। লজ্জা, সচেতনতার অভাব এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে দ্বিধা করেন। এমনকি কেউ কেউ কবিরাজের শরণাপন্ন হন, যা রোগ নিরাময়ে কার্যকর নয়। তবে স্তন ক্যানসার মানেই মৃত্যু নয়। সঠিক সময়ে এই রোগ শনাক্ত করা গেলে এর চিকিৎসা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসার ধরা পড়লে চিকিৎসার সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই, স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে সচেতনতা। ঘরে বসেই নারীরা নিয়মিত নিজস্ব পরীক্ষা করতে পারেন, পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় পরপর স্ক্রিনিং করানোও জরুরি।চিকিৎসা গ্রহণ আর সচেতনতার মাধ্যমে আমরা অনেক জীবন বাঁচাতে পারি।